উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
‘বাংলাদেশে পালিয়ে অাসা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে সই হওয়া সম্মতি চুক্তির আওতায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। এখন পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে’। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অাবুল হাসান মাহমুদ অালী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঠিক কবে থেকে রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে সেটা বলা যাবে না। সেটা তো বড় কথা নয়। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়েছে। খুব শিগগির রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশ অামরা একসাথে কাজ করছি। তাদের সাথে অামাদের যে চুক্তি হয়েছে তাতে অামি অাশাবাদী।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো। বাংলাদেশ দলে স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়সহ অন্তত ৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো’র নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছায়।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে একটি অ্যারেঞ্জমেন্ট সই হয়। তার আলোকে তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া তদারকি করবে। আজকের বৈঠকে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়েছে। পাশাপাশি, ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হবে। ফলে এই বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে জীবন বাঁচাতে গত ২৬ আগস্ট থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এপর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। রোহিঙ্গারা এখনো সেদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে।
পাঠকের মতামত